ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুরা মুনাফিকুনে শত্রুদের বিবরণ

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক
আপলোড সময় : ০৩-০৯-২০২৪ ০৫:১২:১৪ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১২-১০-২০২৪ ০৯:৪৮:৪৭ অপরাহ্ন
সুরা মুনাফিকুনে শত্রুদের বিবরণ
সুরা মুনাফিকুন পবিত্র কোরআনের ৬৩তম সুরা। এটি মদিনায় অবতীর্ণ। এতে ২ রুকু, ১১ আয়াত। মুনাফিক মানে ভণ্ড। মুনাফিকের আচরণ ও তাদের শোচনীয় পরিণতির বিবরণ দেওয়ার পর মুহাম্মদ (সা.)-কে বলা হয়েছে, ‘তুমি ওদের জন্য প্রার্থনা করো বা না করো দুই-ই ওদের জন্য সমান।’ ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততি মানুষকে আল্লাহর স্মরণে উদাসীন করে। মৃত্যু আসার আগে প্রত্যেকের উচিত তাকে যে জীবনের উপকরণ দেওয়া হয়েছে, তার থেকে দান-খয়রাত করা। কারণ, নির্ধারিত কাল উপস্থিত হলে আল্লাহ কাউকে অবকাশ দেন না।

এই সুরায় আছে, ‘যখন মুনাফিকেরা তোমার কাছে আসে, তারা বলে, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে তুমি নিশ্চয় আল্লাহর রাসুল। আল্লাহ জানেন যে তুমি নিশ্চয়ই তাঁর আর আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে মুনাফিকগণ অবশ্যই মিথ্যাবাদী। ওরা ওদের শপথকে ঢালরূপে ব্যবহার করে। এভাবে ওরা আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে নিবৃত্ত করে। 

ওরা যা করছে, তা কত খারাপ! এ জন্য যে ওরা বিশ্বাস করার পর পুনরায় অবিশ্বাসী হয়েছে, ওদের হৃদয় মোহর করে দেওয়া হয়েছে, তাই ওরা বুঝবে না। তুমি যখন ওদের দিকে তাকাও, ওদের চেহারা তোমার কাছে প্রীতিকর মনে হয় আর ওরা যখন কথা বলে, তুমি সাগ্রহে ওদের কথা শোনো; যদিও ওরা দেয়ালে ঠেকানো কাঠের থামের মতো। যেকোনো শোরগোল শুনলে ওরা মনে করে তা ওদেরই বিরুদ্ধে। ওরাই শত্রু, অতএব, ওদের সম্পর্কে সতর্ক হও। আল্লাহ ওদের ধ্বংস করুন। ওরা ভুল করে কোথায় চলেছে?’

যখন ওদের বলা হয়, ‘তোমরা এসো, আল্লাহর রাসুল তোমাদের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করবেন, তখন ওরা মুখ ফিরিয়ে নেয়, আর তুমি দেখতে পাও ওরা দেমাক করে ফিরে যাচ্ছে। তুমি ওদের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করো বা না করো, দুই-ই ওদের জন্য সমান। আল্লাহ সত্যত্যাগী সম্প্রদায়কে সৎ পথে পরিচালনা করেন না। ওরাই বলে, আল্লাহর রাসুলের সঙ্গীদের জন্য খরচ কোরো না, তাহলে ওরা এমনিতেই সরে পড়বে। আকাশ ও পৃথিবীর ধনভান্ডার তো আল্লাহরই; কিন্তু মুনাফিকেরা তা বোঝে না।’ ওরা বলে, ‘আমরা মদিনায় ফিরে গেলে সেখান থেকে প্রবল (মুনাফিকেরা) অবশ্যই দুর্বলকে (মুসলমানদের) বের করে দেবে।

 কিন্তু শক্তি তো আল্লাহর, তাঁর রাসুল ও বিশ্বাসীদেরই; যদিও মুনাফিকেরা তা জানে না।’ (সুরা মুনাফিকুন, আয়াত: ১-৮) দান-সদকার ব্যাপারে মুমিনদের উৎসাহ দেওয়া হয়েছে এই সুরায়। কারণ, তা দুনিয়া ও আখিরাতে বিপুল কল্যাণ বয়ে আনে। কোরআনে আছে, ‘আমি তোমাদের যে জীবনের উপকরণ দিয়েছি, তোমরা প্রত্যেকে তা থেকে ব্যয় করবে, মৃত্যু আসার ও এ কথা বলার আগে যে হে আমার প্রতি আমাকে আরও কিছু সময়ের জন্য অবকাশ দিলে আমি দান-খয়রাত করতাম ও সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।’ (সুরা মুনাফিকুন, আয়াত: ১০)

ধনসম্পত্তি ও সন্তানসন্ততি যেন আল্লাহর জিকির ও নামাজের ব্যাপারে তোমাদের অলস করে না দেয়। আল্লাহ বলেন, ‘হে বিশ্বাসীরা, তোমাদের ধন ও সন্তানসন্ততি যেন তোমাদের আল্লাহর স্মরণে উদাসীন না করে। যারা উদাসীন তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত।’ (আয়াত: ৯) (সুরা মুনাফিকুন, কোরানশরিফ: সরল বঙ্গানুবাদ, অনুবাদ: মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, প্রথমা প্রকাশন) 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dinajpur TV

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ